পাকিস্তানে গত ৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে পাকিস্তানের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচন বাতিল চেয়ে দেশটির সুপ্রিমকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। একইসঙ্গে ৩০ দিনের মধ্যে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানানো হয়েছে। পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ঈসা, বিচারপতি মোহাম্মদ আলী মাজহার ও বিচারপতি মুসারাত হিলালির বেঞ্চে এই আবেদনের শুনানি হবে।
আলী খান নামে এক নাগরিক আবেদনে ন্যায্যতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে বিচার বিভাগের তত্ত্বাবধানে পুনর্নির্বাচনের দাবি করেন। এতে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) ও ফেডারেল সরকারকে বিবাদী করা হয়েছে। পাশাপাশি আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নতুন সরকার গঠনে স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়।
এর আগে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা ৯২ আসনে জয় পায়। এ ছাড়া নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন ৭৫ এবং বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি ৫৪ আসনে জয় পায়। নির্বাচনে সরকার গঠনের জন্য কোনো দলই এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তাই এই মুহূর্তে জোট সরকার গঠন নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা। অন্যদিকে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে নানান কর্মসূচি পালন করছে ইমরান খানের পিটিআই। সূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন